বিদেশে থেকে পণ্য পাঠানোর এবং আনার নিয়ম। বিদেশে কুরিয়ার খরচ
বর্তমান সময়ে দেশের অন্যতম মূল চালিকা শক্তি হলো রেমিটেন্স। এই রেমিটেন্স পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা। কিন্তু একটা মজার বিষয় হলো দেশের বাইরে থেকে কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স বাংলাদেশে আসার অনেক সহজ পথ থাকলেও কোনো পন্য বা পার্সেল বিদেশে পাঠানো বা আনা নিয়ে আমরা প্রায়ই সমস্যার সম্মুখীন হই।
বিদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী-উপহার সামগ্রী আমাদের দেশে পাঠিয়ে থাকেন বা পাঠাতে চান । তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে কিভাবে দেশের বাইরে থেকে একটি পার্সেল দেশে পাঠাতে হয় ।
বিদেশে কুরিয়ার খরচ
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডকুমেন্ট পাঠাবেন এই ব্যাপারে অনেকেই কনফিউজড থাকেন. কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যাপারে আপনাকে প্রথমেই চিন্তা করতে হবে এটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য এবং এই কুরিয়ার সার্ভিসের ট্র্যাকিং সুবিধা কেমন । এরপর আপনি নিজের সুবিধা অনুযায়ী খরচের কথা মাথায় রেখে কুরিয়ার সার্ভিস নির্বাচন করবেন ।
খন ধরুন আপনি আমেরিকায় কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠাতে চান। তাহলে এর ওজন যদি ৫০০ গ্রামের কম হয় তাহলে DHL সার্ভিসে ২৪০০ টাকা নিবে। ৫০০ গ্রামের অধিক হলে খরচ বাড়বে।
আবার ডকুমেন্ট না হয়ে যদি অন্য কিছু হয়- যেমন কাপড়, মেশিন, ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস পত্র তাহলে তার ওজনের উপর খরচের হিসাব একটু ভিন্ন হবে । এগুলো আবার ডকুমেন্টের সাথে মিলালে হবে না । কানাডায় আবার ৫০০ গ্রাম ডকুমেন্টের খরচ ৩০০০ এর মত বা উপরে।
বাংলাদেশে OCS , TNT এই সার্ভিসগুলো। এরা ডকুমেন্ট পাঠাতে DHL এর সার্ভিস ব্যবহার করে কিন্তু খরচ নেয় ডিএইচএলের অর্ধেকের মত। ওদের নিজেদের সার্ভিস নেয় কিন্তু ওরা ভিন্ন কোন ভাবে তাদের লাভের অংশ রাখে । ওরা ৫০০ গ্রামের নিচে ডকুমেন্ট পাঠাতে ১৩০০ টাকা নেয়।
বিদেশ থেকে পার্সেল পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে কোন উপহার সামগ্রী বা পণ্য সামগ্রী পাঠাতে চাইলে তা আপনি যেকোন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশে পাঠাতে পারবেন ।
দেশের বাইরে থেকে অর্থাৎ বিদেশ থেকে কুরিয়ার এর মাধ্যমে কোন পণ্য দেশের মধ্যে আমদানি করলে আপনাকে সাধারণত সেটা বাংলাদেশ সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে হবে । তবে সেই ট্যাক্স এর পরিমাণ কত হবে সেটা নির্ভর করে আপনার পণ্যের উপর, সেটার দাম এবং সেটার পরিমাণ এর উপর ।
আর কাস্টমস থেকে ক্লিয়ারিং এর কাজ করে দেবে স্থানীয় কোন সিএন্ডএফ কোম্পানি । তাদের সাথে যোগাযোগ করলেই হবে ।
দেশের বাইরে থেকে কিভাবে পার্সেল দেশে আনা যায়
দেশের বাইরে থেকে অর্থাৎ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে উপহার সামগ্রী বা পণ্য সামগ্রী বা কোনো প্রকার পার্সেল নিয়ে আসার জন্য কিছু ভালো মাধ্যম হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিস ।
যে কুরিয়ার সার্ভিস গুলোর মাধ্যমে আপনি পার্সেল আনতে পারবেন সেগুলো বেশ বিশ্বস্ত এবং নামকরা কুরিয়ার সার্ভিস রয়েছে ।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - ডিএইচএল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এক্সপ্রেস, ফেডেক্স কুরিয়ার বাংলাদেশ এক্সপ্রেস লিমিটেড, আরামেক্স কুরিয়ার সার্ভিস, এরামেক্স ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস এবং কে সি এস কুরিয়ার অ্যান্ড পার্সেল সার্ভিস, ফক্স পার্সেল, ইউএসপি, ইত্যাদি ।
DHL কুরিয়ার সার্ভিস
DHL হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কুরিয়ার সার্ভিস । DHL কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উপহার সামগ্রী বা পণ্য সামগ্রী বা কোনো প্রকার পার্সেল গুলো বিশ্বের যে কোনো দেশে পাঠাতে পারবেন এবং তা খুব দ্রুততার সাথে উক্ত পার্সেল গুলো পৌঁছে দিয়ে থাকে । বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জেলায় DHL এর শাখা রয়েছে । আপনি নির্দ্বিধায় আপনার পণ্য অথবা পার্সেল এই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠাতে পারেন ।
DHL 1 কেজি মূল্য ইতালি বাংলাদেশের
DHL কুরিয়ার
সার্ভিস খরচ এর পরিমাণ কত হবে সেটা নির্ভর করে আপনার পণ্যের উপর এবং সেটার পরিমাণ এর
উপর । আসলে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না । আপনি যদি DHL কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশে কোনো পাঠাতেই চান সেক্ষেত্রে
আপনার নিকটস্থ কোনো DHL
এর শাখায় যোগাযোগ করুন ।
তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন দেশের বাইরে থেকে কোনো প্রকার ব্যাটারি বা কোনো পার্সেলের সাথে ব্যাটারি যুক্ত সামগ্রী পাঠাবেন না । এতে খরচ বেড়ে চার পাঁচগুন হয়ে যেতে পারে ।
ফেডেক্স কুরিয়ার বাংলাদেশ এক্সপ্রেস লিমিটেড
ফেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি সরবরাহ পরিষেবা বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কুরিয়ার সার্ভিস । এই কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোন জায়গায় অতি দ্রুততার সহিত আপনার পণ্য বা ডকুমেন্ট বা পার্সেল পাঠাতে পারেন । ফেডেক্স কোম্পানির নিজস্ব বিমান আছে, এজন্য তারা আরো দ্রুততার সহিত তাদের সার্ভিসগুলো প্রোভাইড করতে পারে ।
ফেডেক্স কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্বস্ত কুরিয়ার সার্ভিস । এটি দীর্ঘকাল যাবত সরবরাহের কাজ করে আসছে অত্যন্ত সুনামের সাথে । অতএব আপনি নির্দ্বিধায় আপনি আপনার পার্সেল অথবা ডকুমেন্ট অথবা পণ্যটি ফেডেক্স এর মাধ্যমে দেশে পাঠাতে পারেন।
ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস বাংলাদেশ
ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিস এর মধ্যে বাংলাদেশের সার্ভিস রয়েছে DHL, FedEx, TNT, UPS, Aramex ইত্যাদি ।
বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া পার্সেল পাঠানোর নিয়ম
ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে কোন প্রকার পণ্য কুরিয়ার সার্ভিসের
মাধ্যমে পাঠাতে চাইলে এই D
EXPRESS, F EXPRESS, UPS, COURIERVIA কুরিয়ার সার্ভিসগুলোর এর সাহায্যে
পাঠাতে পারবেন ।
এদের কাছ থেকে সেবা নিতে গেলে আপনাকে আগে অনলাইনে বুকিং দিতে হবে অথবা কল করতে হবে +91-9718661166 এই নাম্বারে । ওয়েবসাইট - https://cargocharges.com
রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিস
রেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিস হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ একটি কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান । এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি অতি দ্রুততার সহিত বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তে আপনি আপনার পণ্যটি পাঠাতে পারবেন । এদের রয়েছে একটি মোবাইল অ্যাপস ।
এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যটি কোথায় আছে তা ট্রাকিং করতে পারবেন । বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলা শহর, থানা এবং প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত এদের শাখা রয়েছে আপনি।
রেডেক্স এর মাধ্যমে আপনি আপনার নিকটজনের কাছে অর্থাৎ আত্মীয়স্বজনের কাছে টাকা পয়সাও পাঠাতে পারবেন অতি স্বল্প খরচে । কুরিয়ার সার্ভিস এর জগতে রেডেক্স একটি অতি বিশ্বস্ত তার নাম ।