মাঙ্কিপক্স (Monkey pox) কি-মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়।প্রতিকার এবং করণীয় কি
মাঙ্কিপক্স কি?
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্সের বিভিন্ন কেস উঠে আসতে আরম্ভ করেছে। ইউরোপের দেশগুলিতে এর প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই মাঙ্কিপক্সের ঘটনা। এই রোগের মূল উৎস আফ্রিকায় খুঁজে পাওয়া গেলেও তা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে দিয়েছে।
বিশিষ্ট চিকিৎসক সুলেমান লাধানি বলছেন স্মলপক্সের মতো অতটা তীব্র নয় মাঙ্কিপক্স। যদি দুটি রোগই অর্থপক্সের মতো ভাইরাসের এক একটি ধরন থেকে শরীরে দানা বাঁধে। মূলত আফ্রিকায় এই মাঙ্কিপক্স দেখা যায়। তবে আফ্রিকার বৃষ্টিঅরণ্যে এর মূল উৎস। স্মল পক্সের মতোই মাথার যন্ত্রণা, ব়্যাশ, জ্বর দিয়ে শুরু হয় এই পক্স।

কীভাবে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স?
মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সর্দি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। আক্রান্তের সঙ্গে অনেকক্ষণ মুখমুখি কথা বললে এই রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গমের থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। সঙ্গমকালে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যায়।
এছাড়াও ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও জিনিস, বা পোশাক, ভাইরাস আক্রান্তের রক্ত থেকে ছড়িয়ে যায় এই রোগ।
মাঙ্কিপক্সের প্রতিকার/চিকিৎসা পদ্ধতি এবং করণীয়
চিকিৎসকরা বলছেন ২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় মাঙ্কিপক্স। এটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে বেশিরভাগ কেসে। তবে প্রয়োজনে ওষুধের দরকার পড়ে। অল্প থাকতেই বা লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসায় সেরে ওঠে মাঙ্কিপক্স, বলছেন চিকিৎসক লোধানি।
মাংকিপক্স কতটা ভয়ংকর
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংকিপক্স কখনো কখনো গুরুতর হতে পারে। পশ্চিম আফ্রিকায় এই রোগে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জোর দেয় যে আমরা একটি গুরুতর প্রাদুর্ভাবের দ্বারপ্রান্তে নেই এবং সাধারণ জনগণের জন্য ঝুঁকি খুবই কম।
তবে আশার কথা হলো এই রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই এবং জনসাধারণের জন্য ঝুঁকিও খুব কম বলেও বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ইউকেএইচএসএ এর ক্লিনিক্যাল ও সংক্রমক বিষয়ক পরিচালক কলিন ব্রাউন বলেন, যদিও সংক্রমণের উৎস নির্ধারণের চেষ্টা এখনো চলছে, তবে এই রোগ মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে না সে ব্যাপারে জোর দেওয়া জরুরি।
এই রোগের প্রার্দুভাব ঠেকাতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শরীরে নতুন কোনো র্যা শ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলতি মে মাস থেকেই এই ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ইতোমধ্যেই ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে রোগটি। যেসব দেশে ইতোমধ্যে মাংকিপক্স শনাক্ত হয়েছে সেগুলো হলো- ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে।